ঢাকা, শুক্রবার   ১৭ মে ২০২৪

ভ্যাকসিন নেয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে নারীরা (ভিডিও) 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪৪, ২৫ মার্চ ২০২১

ভ্যাকসিন নেয়ার ক্ষেত্রে নারীদের সংখ্যা অর্ধেকেরও কম; ৪০ শতাংশের নিচে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারীদের সংক্রমণ হার কম হলেও ভ্যাকসিন নিতে হবে সবাইকেই। এই যখন অবস্থা তখন প্রচারণা বাড়ানোর পাশাপাশি নারীবান্ধব টিকাদান কেন্দ্রের পরিসর বাড়ানোর পরামর্শ তাদের। 

সারাদেশে ভ্যাকসিনগ্রহীতার সংখ্যা অর্ধকোটি ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে নারীদের সংখ্যা অর্ধেকেরও কম।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে নারীদের মধ্যে টিকা নেয়ার হার সবচেয়ে কম। মাত্র ৩৬ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি টিকা নিয়েছেন ময়মনসিংহ বিভাগে, ৪০ শতাংশ। রংপুর ও খুলনা বিভাগের নারীরা ৩৯ শতাংশ। রাজশাহী ও সিলেট বিভাগে টিকা নেয়ার হার ৩৮ শতাংশ।

মহানগরীতে এ পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ৮ লাখেরও বেশি। তবে নারীদের মধ্যে ভ্যাকসিন নেয়ার হার মাত্র ৩৬ শতাংশ। 

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ টিকাকেন্দ্রে নারীদের টিকা নেয়ার হার কম। ৫টি হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী ওইসব টিকাকেন্দ্রে টিকা নিয়েছেন ১৮ থেকে ৩৪ শতাংশ নারী।

এদিকে রাজধানীর ৪৭টি টিকাদান কেন্দ্রের মধ্যে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা ভিত্তিক ১০টি কেন্দ্রের তথ্যে দেখা যায়, নারীদের মধ্যে ভ্যাকসিন নেয়ার হার ৩৭ থেকে ৪৬ শতাংশ। যা অন্য টিকাদান কেন্দ্রের তুলনায় বেশি। গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে টিকা নিয়েছেন ৩৩ থেকে ৩৫ শতাংশ নারী। নারীবান্ধব পরিবেশ এবং আগে থেকেই পরিচিত থাকার কারণে এসব টিকাকেন্দ্র বেছে নেয়ার কথা বলছেন নারীরা।

নারীরা জানান, এখানে সবাই দিচ্ছে। আমার কাছে এটি পুরনো, এই জায়গাটা আগে থেকেই চিনি তাই এসেছি এখানে। মেয়েদের জন্য এখানে ভালো এবং বাসার কাছে এজন্য আমার আসা। এখানে সুন্দর সুবিধা পাওয়া যায় এবং আমার আসা-যাওয়া আছে তাই এখানে এসেছি।

নারীদের ক্ষেত্রে সংক্রমণ হার ২৪ শতাংশ, ভ্যাকসিন নেয়ার ক্ষেত্রেও কম। 

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইউজিসি অধ্যাপক এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, মনে করে ভালই আছি, ঘরেই আছি, আমি কোথাও যাই না, আমার হয়তো করোনা হবেই না। এটা কিন্তু তার ফিলিং কিন্তু এটাও ঠিক না। আমি মনে করি, নারী-পুরুষ সবাইকেই টিকা নিতে হবে।

পেশাগত দিক থেকে নারীর সমান অংশগ্রহণ না থাকায় পেশাভিত্তিক কোটা এবং পারিপার্শ্বিক নানা কারণেই চল্লিশোর্ধ্ব নারীদের মধ্যে টিকা নেয়ার আগ্রহ কম বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, প্রোফেশনালে নারী-পুরুষের ডিফারেন্স আছে। সেখানে পুরুষদের রেসিওটা বেশি, নারীদের কম। সঙ্গত কারণেই ওই লিস্ট ধরে টিকা কার্যক্রম চলছে, সেই কারণেই আমার মনে হয় এখানে ডিফারেন্সটা হয়ে গেছে।

এ অবস্থায় ভ্যাকসিন কার্যক্রম নিয়ে তৃণমূলে প্রচারণা বাড়ানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও ভ্যাকসিন নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

অধ্যাপক এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, যারা নেননি তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তারা যেন ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে টিকা নেন।
দেখুন ভিডিও :


এএইচ/এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি